ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছে একটি আঞ্চলিক সামরিক জোটের ধারণা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডানের সহায়তায় ইসরায়েল অধিকাংশ হামলা প্রতিহত করার পর এই জোটের প্রাসঙ্গিকতা সামনে আসে, যা পর্যবেক্ষকদের কাছে ‘আরব ন্যাটো’ হিসেবে পরিচিত।
এই জোটের মূল উদ্দেশ্য হলো ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় আরব দেশ ও ইসরায়েলকে এক ছাতার নিচে আনা। এর আওতায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং একটি সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স’ (মেসা) নামে এই জোটের ধারণাটি সামনে এনেছিল। এতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, মিসর ও জর্ডানকে সদস্য হিসেবে ভাবা হয়েছিল। তবে আরব দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে недоверие এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়ায়, বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে, এই উদ্যোগ তখন খুব বেশি এগোতে পারেনি।
যদিও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ২০২২ সালে একটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সামরিক জোট গঠনের ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, এমন জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট হতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে রক্ষায় জর্ডানের মতো আরব দেশের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, ইরানের বিরুদ্ধে একটি অলিখিত বোঝাপড়া এরই মধ্যে কার্যকর রয়েছে। তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার এই ঘটনাই স্থবির হয়ে থাকা ‘আরব ন্যাটো’র ধারণাকে নতুন করে প্রাণ দিয়েছে।

