এই বাজেট পাশের দিকে শুধু আমেরিকার মতো পরাশক্তি নয়, কানাডায় এ মুহুর্তে বসবাস করা সবশেষ অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশীদেরও চোখ আটকে ছিল।
দীর্ঘ উত্তেজনার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল সরকার সোমবার রাতে খুব অল্প ব্যবধানে ফেডারেল বাজেট পাস করেছে। ভোট ছিল ১৭০–১৬৮। এতে ছুটির মৌসুমে সম্ভাব্য শীতকালীন নির্বাচন এড়ানো সম্ভব হলো।
এমন অপেক্ষার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দুই আসন কম থাকায় লিবারেলদের বাজেটের ভাগ্য আসলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চিত ছিল। গত দুই সপ্তাহে দু’জন কনজারভেটিভ এমপি দল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্বে আন্তর্জাতিক জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণের অঙ্গীকার করার পর গ্রিন পার্টির একমাত্র এমপি এলিজাবেথ মে বাজেটের পক্ষে ভোট দেন, যাতে নির্বাচন এড়ানো সম্ভব হয়।
এনডিপির সাত এমপির মধ্যে পাঁচজন বাজেটের বিপক্ষে ভোট দেন এবং দুইজন—লরি ইডলাউট ও গর্ড জনস—নির্বাচন ঠেকাতে ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। কনজারভেটিভদের ১৪৩ জনের মধ্যে দুইজন ভোটে অংশ নেননি। ব্লক কুইবেকোয়ারের ২২ এমপি একযোগে বাজেটের বিপক্ষে ভোট দেন।
রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেও লিবারেলরা আগের সপ্তাহ থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল। অন্যদিকে নেতৃত্ব সংকটে থাকা এনডিপি নির্বাচনের আশঙ্কায় সবচেয়ে বেশি চাপে ছিল বলে সূত্র জানিয়েছেন।
অ্যাবাকাস ডাটার সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাজেট পাস হোক—এমন প্রত্যাশা ছিল কানাডিয়ানের ৪৬ শতাংশের। আর ৩৫ শতাংশ নির্বাচন ঝুঁকি থাকার পরও বাজেটের বিপক্ষে ছিলেন।
কনজারভেটিভ নেতা পয়লিয়েভ্র অভিযোগ করেন, “বাজেট ধনীদের সুবিধা দেয়, কিন্তু সাধারণ মানুষ রেকর্ড দামের বাজার করে কষ্ট পাচ্ছে।”
এর আগে বাজেট পরিবর্তনের দুটি বড় প্রস্তাবও লিবারেলরা সহজে ঠেকিয়ে দেয়। কনজারভেটিভরা ব্যয় ও কর কমানোর দাবি তুলেছিল, আর ব্লক স্বাস্থ্যখাত ও পেনশনে বড় অঙ্কের বাড়তি বরাদ্দ চেয়েছিল।
বাজেটে পাঁচ বছরে নতুন খরচের প্রস্তাব রয়েছে ১৪১ বিলিয়ন ডলার, যার একটি অংশ পরবর্তী তিন বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে সমন্বয় করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

