প্রথমে ৩ বছর ও পরে দক্ষতা সাপেক্ষে মোট ৬ বছর প্রেষণে চাকুরী করতে পারবেন তারা।
গত রোববার কাতারের দোহাতে বহুল প্রতীক্ষিত “বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী হতে কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে জনবল নিয়োগ” এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান এবং কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অফ স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পাইলট) জাসিম বিন মোহাম্মদ আল মান্নাই।
এছাড়াও, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান, ডেলিগেশন সদস্যগণ এবং দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এমন চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে প্রেষণে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাবে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ৮০০ জনকে কাতারে প্রেরণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ জনবলের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রেরণকৃত জনবল প্রাথমিকভাবে ০৩ বছরের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত হবে এবং তাদের কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে নিয়োগের মেয়াদ ০৬ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে।
এ চুক্তির ফলে কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে দক্ষ জনবল প্রেরণের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো এবং দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। এছাড়া, বাংলাদেশের সদস্যগণ আর্থিকভাবে উপকৃত হবে এবং বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সমর্থ হবে।
এর পাশাপাশি, এই সফরকালে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার কাতার সরকার, সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সামরিক শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২১-২৫ এপ্রিল ২০২৫ বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস “আর্থনা” সম্মেলন উপলক্ষ্যে কাতার সফর করেন। সে সময় তিনি কাতার সরকারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, ড. ইউনূসের সেই সফর ও ফলপ্রসূ কূটনীতির ফলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর ত্বরান্বিত হয়েছে।

