এক নজরে জুলাই সনদ যা থাকছে তার মধ্যে অন্যতম বিধান হচ্ছে দেশে ১০ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। স্বাক্ষরিত সনদ অনুযায়ি কোনো ব্যক্তি একইসাথে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না কেউ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংশোধনীর সুপারিশ রয়েছে সনদে। বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের উচ্চ ও নিম্মকক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন হবে। রাষ্ট্রপতির অভিশংসনে উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশর সমর্থন লাগবে। জাতীয় নির্বাচনে ভোটের সংখ্যানুপাতের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের ১শ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। ফলে চাইলেই যে কাউকে যেমন রাষ্ট্রপতি মনোনীত করা যাবে না, আবার চাইলে তাকে বাদও দেয়া সম্ভব হবে না ক্ষমতাসীনদের পক্ষে। এছাড়া স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ অনুযায়ি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন তার বাছাই কমিটি গঠিত হবে। এই কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধ দলীয় নেতা। আবার জাতীয় সংসদে ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন করা হবে। যেখানে বলা রয়েছে অর্থ বিল আর আস্থা ভোট ছাড়া দলের বিরুদ্ধে সংসদে ভোটের সুযোগ পাবেন দলীয় এমপিরাও। ডেপুটি স্পীকার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটিগুলোর প্রধান হবেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। প্রধান বিচারপতি নিয়োগে বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। অধস্থন আদালতের উপর শুধু সুপ্রীমকোর্টের নিয়ন্ত্রণ আরোপ আরোপিত হবে। জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ জনে উন্নীত হবে। এছাড়া পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক মনোনয়নে নিরপেক্ষতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিধি-বিধান জারি হবে।
Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
Powered by NewsLab
© ২০২৫ CBNNTV মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত

