অবশেষে প্রায় সাড়ে ১৭ ঘন্টা পর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নেভাতে বিরামহীন কাজ করে সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের মোট ১৫টি এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্যও। সব মিলিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করে কমপক্ষে ২৫টি ইউনিট।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটা ১৫ মিনিটের দিকে লাগা এই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে প্রায় টানা ১৬ ঘণ্টা ধরে। বৃহস্পতিবার রাত ৪টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি চট্টগ্রাম ইপিজেডে লাগা সাততলা ভবনের সেই আগুন। রাত ১১ টার দিকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলে আগুন দ্রুত নির্বাপনের একটি সুযোগ তৈরি হয়। আগুনের উত্তাপ কিছুটা কমাতে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা কাছাকাছি এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সে দফায় সফল হয়নি। তাই গভীর রাত পর্যন্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা ও গুদাম থাকা সেই ভবন জ্বলছিল দাউ দাউ করে।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান জানান, অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে বেলা দুইটার দিকে এ আগুন লাগে। অ্যাডামস তোয়ালে ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিকেল গাউন তৈরির কারখানা।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, ‘১০ ঘন্টারও বেশি সময় টানা কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে ক্লান্ত যায়। তারপরও আশপাশের ভবনগুলো রক্ষা করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে সবাই।’
তিনি আরও বলেন, ভেতরে অনেক দাহ্য পদার্থ ছিল। তাই তীব্র আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে সবাইকে। তিনি বলেন, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে নেই বলে কারখানার মালিকপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন। তবে আমরা ভবনটির ৬ ও ৭ তলায় আটকে পড়া ২৫ জনকে উদ্ধার করেছি। তারা ধোঁয়ায় আটকা পড়েছিল। আমরা তাদের নিরাপদে সরিয়ে এনেছি। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কিংবা কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

