ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলা বিএনপিপন্থি শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)। সংগঠনটির দাবি, যে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার তত্ত্বাবধানের মূল দায়িত্বে সাদা দলের শিক্ষকেরাই ছিলেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় ইউটিএল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের কমিশনের ৮ জনই সাদা দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের মধ্যে ১৬টির প্রভোস্ট এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনেরা সরাসরি সাদা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, “নির্বাচন তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব যখন সাদা দলের শিক্ষকদের হাতে ছিল, তখন নিজেদের বিবৃতিতে দাবি করা নির্বাচনে জালিয়াতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গ দ্বিচারিতা ও দ্বিমুখী আচরণের পর্যায়ে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এতে করে বিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।”
ইউটিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা নিবিড়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। এতে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ছোটখাটো কিছু ত্রুটি ছাড়া নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মতো কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি তাদের নজরে আসেনি।
সংগঠনটি মনে করে, নির্বাচন শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর এটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর রায়কে অসম্মান এবং গণতান্ত্রিক অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি সুপরিকল্পিত প্রয়াস।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ইউটিএল তিনটি প্রস্তাবনা পেশ করে। সেগুলো হলো— নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত অযৌক্তিক প্রশ্নের নিরসন, সাদা দলকে তাদের বিবৃতি প্রত্যাহার এবং প্রশংসিত এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার তৎপরতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

